হারের অপেক্ষা পঞ্চম দিনে নিল বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার পাঁচটি ক্যাচ ফেলেছে বাংলাদেশ। সুযোগ নিয়ে লঙ্কানরা ৫৩১ রানের পাহাড় জমা করে। ওই ইনিংস শেষেই সিলেটের মতো চট্টগ্রাম টেস্টেও বাংলাদেশ হারের পথে পা বাড়িয়ে দেয়। ওই হারের অপেক্ষা টেনে পঞ্চম দিনে নিতে পারাই চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ দলের সাফল্য।
শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় এই টেস্টে বাংলাদেশ দলকে জয়ের জন্য ৫১১ রানের লক্ষ্য দেয়। জবাবে চতুর্থ দিন শেষে ৬৮ ওভার ব্যাটিং করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ। মেহেদী মিরাজ ৪৪ রান করে দিন শেষ করেছেন। তার সঙ্গী তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশ এখনও ২৪৩ রানে পিছিয়ে। পঞ্চম দিন লঙ্কানদের জয়ের অপেক্ষা বাংলাদেশ কতটা বাড়াতে পারেন সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
মুমিনুল-সাকিব-লিটনে একটু আলো: প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে জয়-জাকির ভালো শুরু করলেও নিয়মিত উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক শান্ত দুই টেস্টের চার ইনিংসেই চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছেন। এর মধ্যে মুমিনুল হক ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। সাকিব আল হাসান ৩৬ ও লিটন দাস খেলেন ৩৮ রানের ইনিংস। তারা দলকে আরও একটু ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার আশা দেখালেও পারেননি।
শ্রীলঙ্কার ইনিংস ঘোষণা: প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের পেসারদের সামনে খেই হারিয়ে ফেলে। ৮৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করে তারা। চতুর্থ দিন সকালে ১৩২ রানে হারায় সপ্তম উইকেট। এরপর ১৫৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দেয় তারা। ততক্ষণে শ্রীলঙ্কার লিড গিয়ে ঠেকেছে ৫১১ রানে। ওই ইনিংসে ম্যাথুস ৫৬ রান করেন।
বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়: শ্রীলঙ্কার রান পাহাড়ের নিচে পড়ে প্রথম ইনিংসে পিষ্ট হয়েছে বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান তোলে। বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১৭৮ রানে। ওপেনার জাকির হাসান ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন। প্রথম ইনিংস থেকে লঙ্কানরা ৩৫৩ রানের লিড তুলে নেয়।
সেঞ্চুরি ছাড়া রেকর্ড রান শ্রীলঙ্কার: চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার ছয় ব্যাটার ফিফটি করেছেন। তিনে নামা কুশল মেন্ডিস ৯৩ রান করেন। সাতে নামা কামিন্দু মেন্ডিস খেলেন ৯২ রানের ইনিংস। ফিফটি পান দিমুথ করুনারত্নে, দিলশান মাদুশাঙ্কা, দিনেশ চান্দিমাল ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। কোন সেঞ্চুরি ছাড়া এটি টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। তারা ৪৮ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে।
আসিথা ফার্নান্দো বনাম হাসান মাহমুদ: প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দলকে ধসিয়ে দেন লঙ্কান পেসার আসিথা ফার্নান্দো। তিনি ৪ উইকেট তুলে নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের অভিষিক্ত পেসার হাসান মাহমুদ নিয়েছেন ৪ উইকেট।