মীরসরাইয়ে বাসের ধাক্কায় নারী নিহত, শিশুসহ আহত ৩০
ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই সদরে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় দুটি মাইক্রোবাস দুমড়ে–মুচড়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই পৌরসদরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় বাসের যাত্রী, পথচারী, স্কুল শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। গতকাল রাত ১০টায় এই রিপোর্ট লেখার সময় বাসের এক মহিলা যাত্রী চমেক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানা গেছে। তার নাম নিলুফা আক্তার মাসুদা (৪৫)। দুর্ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন রোজিনা আক্তার, নুরুল আবছার, সাইফুল ইসলাম, হালিমা বেগম, পাখি আক্তার, দিপক, শাকিল, বাস চালক আবুল বশর, শিশু সাদনান, আফসানা ইতি, মাহিন মোনতাহিন। অন্যদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মীরসরাই সদরের ফুটওভার ব্রিজের দক্ষিণ পাশে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের পেছনে ধাক্কা দিয়ে আটকে যায় সিডিএম পরিবহনের একটি বাস। বাস দুটি কিছুদূর এভাবে যাওয়ার পর মীরসরাই সরকারি মডেল স্কুলের সামনে গেলে শ্যামলী বাস থেকে পৃথক হয়ে বাম দিকে মোড় নিলে সাথে সাথে সড়কের পাশে পার্কিং করা দুটি প্রাইভেট কারকে চাপা দেয় সিডিএম বাস। এসময় স্কুলের দেয়ালের সঙ্গে আটকে বেশ কয়েকজন পথচারী এবং বাসে থাকা অনেক যাত্রী আহত হয়। পরে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন এসে উদ্ধার করে তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে। মীরসরাই সেবা আধুনিক হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ রায়হান বলেন, দুর্ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে চমেকে রেফার করা হয়। জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ইনচার্জ সোহেল সরকার বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আহতদের দেখতে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ছুটে যান মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান।